আইফোন এক্স এবং আইফোন ৮ স্মার্টফোনের মাঝে পার্থক্য কি ?
বিশ্বজুড়ে বিক্রয় চলছে এপলের এর স্মার্টফোন আইফোন এর
সম্প্রতি প্রকাশিত নতুন দুটি মডেল এর । দুটি মডেল এর নামকরণ করা হয়েছে – ( আইফোন ৮ iphone8 এবং আইফোন এক্স
iphone X ) ।
তবে আপনাকে নতুন আইফোন এক্স এর
জন্য আরো বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে
এবং আইফোন ৮ থেকে এটি অবশ্যই অনেক বেশি দাম এর হবে , ধারণা করা হচ্ছে আইফোন
৮ থেকে আইফোন এক্স এর দাম প্রায় ৪০% বেশি রাখা হবে ।
কেন এর দাম এতো বেশি হবে ?
রহস্যের সমাধান জানতে চলুন তবে
দেখে নেই বিস্তারিত কিছু তথ্য –
ডিসপ্লে কোয়ালিটি - পুরনো ভার্সন এবং ভবিষ্যৎ ভার্সন
আইফোন ৮ এবং আইফোন এক্স এর
পার্থক্য গুলো যাচাই করার প্রথমেই আমার মনে হয় দুটি স্মার্টফোনের ডিসপ্লে কোয়ালিটি
নিয়ে আমাদের আলোচনা করা উচিৎ । চলুন এর ডিসপ্লে কোয়ালিটির পার্থক্য গুলো আগে দেখে
নেই –
·
আইফোন এক্স এর
ডিসপ্লে – ৫.৮” ইঞ্চি ফিচার রয়েছে-
( 78.5:9 True Tone OLED , 2436x1125 Pixels )
(458 PPI ) , 82.9% Screen-to-body Ratio ।
·
আইফোন ৮ এর
ডিসপ্লে - ৪.৭” ইঞ্চি ফিচার রয়েছে - ( 16:9 True Tone
LCD, 1334x750 Pixels ( 326 PPI ), 65.6% Screen-to-body Ration ।
আইফোন এক্স এর ডিসপ্লে কোয়ালিটি আইফোন ৮ থেকে তুলনামূলক অনেক বড় এবং এর এস্পেক্ট রেটিও অনুযায়ী বোঝা যায় এটি আইফোন ৮ থেকে দ্বিগুণ ভালো পারফর্মেন্স সম্পন্ন । এছাড়াও এর ওএলইডি ডিসপ্লে আপনাকে ভালো কনট্রাস্ট রেশিও দিতে সক্ষম যা কিনা স্মার্টফোনের পাওয়ার সেভিংস এর জন্য সেরা । আইফোন এক্স এর ডিসপ্লে পিক্সেল এবং সাইজ এখন পর্যন্ত এর সকল মডেল থেকে সেরা এবং আকারে বড় ।
যদিও আইফোন ৮ এবং আইফোন এক্স
দুটি স্মার্টফোনের মাঝে রয়েছে এপলের ট্রু
টোন টেকনোলজি তারপরেও একমাত্র ডিসপ্লে
সাইজ এবং এস্পেক্ট রেশিও অনুযায়ী হিসেব কষলে দেখা যায় আইফোন এক্স সেরা ডিসপ্লের
অধিকারী । এই কারণেই বাজারে অবস্থানরত অন্যান্য সকল স্মার্টফোন যেগুলো আইফোন এক্স
এর প্রতিদ্বন্দ্বী যেমন , গ্যালাক্সি এস ৮ , এলজি জি ৬ এবং আপকামিং গুগল পিক্সেল ২ এক্সএল সকলের সাথে
পাল্লা দিয়ে চলছে এর প্রচারণা এবং বাজারেও রয়েছে শক্ত অবস্থানে । যদিও অন্যান্য সকল ফোন গুলোর ডিসপ্লেও প্রায়
সমান রেজুলেশন এর ।
ডিজাইন- সাইজে বড় বনাম কমপ্যাক্ট
ডিসপ্লে এর তুলনায় দেখা যায় আইফোন
৮ থেকে আইফোন এক্স এর মান এবং সাইজ সকল
দিক থেকেই এটি সেরা । কিন্তু গ্রাহক পর্যায়ে কি চাইছে ? তাঁরা কি আকর্ষণীয়
কমপ্যাক্ট সাইজের স্মার্টফোন চাইছে নাকি কমপ্যাক্ট সাইজ তাঁদের তেমন পছন্দ নয়
? এপলের ফ্ল্যাগশিপ এর এই দুটি ফোন এর মাঝে চলুন দেখে নেই কোনটা
সবচাইতে বেশি কমপ্যাক্ট –
·
আইফোন
এক্স- 143.6X
70.9 X7.7 mm , 174g (6.14Oz)
·
আইফোন ৮ - 138.4X 67.3 X
7.3 mm 148g (5.22Oz)
আইফোন এক্স আইফোন ৮ এর তুলনায়
একটু লম্বা । এটি আইফোন ৮ থেকে বেশি দীর্ঘ এবং প্রশস্ত আর তাই এটি আইফোন ৮ থেকে
১৭% বেশি হেভি । আইফোন ৮ প্লাস রয়েছে আবার
২০২গ্রাম ওজনের । তুলনামূলক ভাবে তাই এই তিনটি ফোনের মাঝেই রয়েছে ব্যাপক ধরনের
পার্থক্য । তবে অনেকেই বলছে আইফোন এক্স এর এই
ওভারসাইজ ডিসপ্লে এর কারণে এটি তাঁদের কাছে ভালো লাগেনি । ফোনের মাঝে ভিডিও প্লে ব্যাক কিংবা ফুল স্ক্রিন
ইমেজ দেখতে গেলে তাঁদের কাছে ব্যাপারটি খানিকটা মন্দ লেগেছে বলে জানিয়েছেন ।
তারপরেও আইফোন এক্স এবং আইফোন ৮
এর ডিজাইনের মাঝে কিছু সমপর্যায়ের ফিচার
প্রদান করা হয়েছে যেমন , দুটি ফোনের পেছনেই রয়েছে গ্লাস ব্যাকপার্ট , ওয়্যারলেস
চার্জিং , ওয়াটার এন্ড ডাস্ট কন্ট্রোল এন্ড প্রোটেকশন সিস্টেম ( ১ মিটার পানির নিচে ৩০ মিনিট সময় পর্যন্ত ) । রয়েছে আকর্ষণীয় এলুমিনিয়াম
চেসিস ।
দুটি মডেলের মাঝেই রয়েছে লাইটেনিং
পোর্ট , স্টেরিও স্পিকার , কালার হিসেবে আইফোন এক্স এর রয়েছে শুধুমাত্র
সিলভারএবং স্পেস গ্রে কালার অন্যদিকে
আইফোন ৮ এর মাঝে রয়েছে গোল্ড কালার ,
সিলভার এবং গ্রে ।
পারফর্মেন্স
আইফোন এক্স এবং আইফোন ৮ এর বাহ্যিক দিক থেকে যেমন খুব বেশি একটা পার্থক্য
নেই ঠিক তেমনিও এর ভেতরের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সকল কিছুর খমতার মাঝেও তেমন
পার্থক্য নেই ।
·
আইফোন ৮ এবং
আইফোন এক্স- Apple A11 “bionic” chipset: Six core CPU & Six
core GPU, M11 motion coprocessor , 3 GB Ram (iphone X) , 2 GB Ram ( I phone 8)
র্যাম এর মাঝে যেমন পার্থক্য
আমরা দেখতে পাচ্ছি দুটি ফোনের ক্ষেত্রে ক্যামেরা পারফর্মেন্স এর মাঝেও রয়েছে
কিছুটা পার্থক্য । আইফোন ৮ এর স্ক্রিন রেজুলেশন আইফোন এক্স এর তুলনায় কম , র্যাম
ও কম এবং ক্যামেরা রয়েছে সিঙ্গেল লেন্স এই পার্থক্য গুলোই কিন্তু দুটি ফোনকে আলাদা
করার ক্ষেত্রে যথেস্ট ।
এপলের মতে তাঁদের নতুন A11 চিপসেট অন্যান্য সকল সিপিইউ ইউনিট থেকে ২৫% বেশি
ক্ষমতাসম্পন্ন এবং ফাস্ট । আর গ্রাফিক্স ইউনিট ও অন্যান্য সকল জিপিইউ থেকে ৩০
শতাংশ বেশি পারফর্মেন্স সম্পন্ন ।
মাল্টি টাস্কিং এর জন্য দুটি
ফোনের স্পিড তুলনামূলক অন্যান্য সকল স্মার্টফোনের চাইতে অসাধারণ বললেই চলে ।
কিন্তু বায়োনিক পার্ট কি ? আপনার
মনে প্রশ্ন জাগতে পারে –
একমাত্র এখানেই রয়েছে আইফোন এক্স
এর নিজস্বতা ।
আইফোন এক্স এর মাঝে বায়োনিক পার্ট
হিসেবে টাচ আইডি এর বদলে রাখা হয়েছে এপলের নতুন টেকনোলজি ফেস আইডি রেকনাইজেশন ।
এপলের মতে এটি টাচ আইডি থেকেও বেশি নিরাপদ এবং ফাস্ট ।
Comments
Post a Comment