গর্ভবতী মায়ের সুরক্ষায় কোয়েল ডিজিটাল বালা
গর্ভবতী মায়ের সুরক্ষায় কোয়েল ডিজিটাল বালা
আপনি কি জানেন বাংলাদেশে প্রতি বছরে সন্তান প্রসবের সময় বিভিন্ন কারণে কতজন গর্ভবতী মা এবং শিশু মারা যায় ?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক তথ্য অনুযায়ী-
“ বাংলাদেশে প্রতি বছর বিভিন্ন কারণ এবং অনিয়মের ফলে ৫০০০ গর্ভবতী মা মারা যায়”
আজ গর্ভবতী নারীদের সুরক্ষায় কোয়েল ডিজিটাল বালা সম্পর্কে আলোচনার আগে আপনাদের জানাতে চাই বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একজন নারীর গর্ভকালীন সময় কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল । কারণ গর্ভকালীন সময়ের মাঝে একটু অসচেতন হলেই গর্ভের সন্তান সহ মায়ের জীবননাশের আশংকা থাকে ।
Image source: www.grameen-intel.com
একজন নারীর জীবনের সবচাইতে বড় পাওয়া তার সন্তান । কস্ট সহ্য করে একজন মা যখন সন্তান প্রসব করে তখন সন্তানের স্পর্শেই মায়ের মাঝে পৃথিবীর সবচাইতে সুখটুকু অনুভূত হয় ।
সকল মা এবং পরিবার চায় তাঁদের সন্তান নিরাপদে সুস্থ ভাবে পৃথিবীর আলো দেখুক আর সুস্থ থাকুক গর্ভধারিনী মা কিন্তু আমাদেরই বিভিন্ন অসচেতনতার কারণে হয়তো চলে যায় হাজারো মায়ের প্রান হাজারো নবজাতকের পৃথিবীর আলো দেখার অধিকার ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে সারা বিশ্বে প্রায় ৮৩০ জন গর্ভবতী নারী প্রসবের সময় কিংবা গর্ভবতী থাকা অবস্থায় মারা যায় ।
আপনারা যারা আজকের এই লেখা পড়ছেন তাঁদের মাঝে কিংবা ঘরে কিংবা প্রতিবেশীদের মাঝে কেও না কেও হয়তো আছেন যিনি একজন গর্ভবতী নারী ( মা ) ।
বাংলাদেশে একজন নারীর গর্ভকালীন সময়ের গুরুত্ব কতটুকু ?
এশিয়ার মাঝে বাংলাদেশে গর্ভকালীন সময়ে মৃত্যুর হার দেশকে তৃতীয় অবস্থানে নিয়ে এসেছে তার কারণ গুলো কি কখনো ভেবেছেন ?
প্রথম কারণ বাংলাদেশের প্রায় ৬০ থেকে ৭৫ ভাগ শিশুর জন্ম হয় নিজ বাড়িতে ।
গর্ভবতী অবস্থায় একজন মা কিংবা পরিবারের বিভিন্ন ছোটখাটো অসচেতন কার্যক্রম ।
গর্ভকালীন অবস্থায় ইনসুলিন অথবা কলেস্টরল এর মাত্রা বেড়ে গিয়ে ।
বিশেষ করে গ্রামে বিভিন্ন কুসংস্কার এবং অসচেতনতার ফলে ।
অল্প বয়সে গর্ভধারন জনিত সমস্যা
এরকম আরো অনেক সমস্যার কারণে বাংলাদেশে প্রায় প্রতিদিন গড়ে ১৪ জন প্রসুতি মা মারা যায় । আসুন এজন্য আমরা সকলেই সচেতন হই , তাহলেই সুস্থ থাকবে মা সুস্থ থাকবেন গর্ভের সন্তান । চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এবার কোয়েল ডিজিটাল বালা সম্পর্কে তথ্য গুলো জেনে নেই , কিভাবে এটি একজন গর্ভভবতী মায়ের যত্ন নিতে সক্ষম একটি ডিজিটাল প্রোডাক্ট ।
কোয়েল ডিজিটাল বালা পরিচিতিঃ
কোয়েল ডিজিটাল বালা নারীদের হাতের অলংকার বালা এর মতোই দেখতে । প্রশ্ন জাগতে পারে আপনার যেখানে একজন মানুষ পারেনা সঠিক ভাবে একজন মানুষের যত্ন নিতে সেখানে এই বালা কি করে পারবে ?
Image Source http://www.theindependentbd.com
এটি ডিজিটাল ব্যাঙ্গল’ বা ‘ডিজিটাল বালা’, ‘কোয়েল’ নামে পরিচিত। দাম ১২ থেকে ১৫ ডলার, মানে হাজার-বারো শ টাকা।
এই বালা সাধারণ হাতের বালা নয় , শুধু মাত্র গর্ভবতী মায়েদের কথা ভেবে বিশেষ ভাবে এই বালাটি তৈরি করা হয়েছে ।
বালাটি তৈরির পেছনে রয়েছে ইন্টেল কর্পোরেশন এবং বাংলাদেশের গ্রামীণ ট্রাস্ট ।
Image source: www.grameen-intel.com/
ডিজিটাল বালা কীভাবে কাজ করে এবং একজন গর্ভবতী মায়ের সুরক্ষায় কতটা ভরসাযোগ্য চলুন দেখে নেই –
“ কোয়েল ডিজিটাল বালা অন্যান্য সকল সাধারণ বালার মতোই গর্ভকালীন অবস্থায় একজন নারী পরতে পারবে তার হাতের মাঝে । এটি একজন মা কে বিষাক্ত কালো ধোঁয়া বিভিন্ন রাসায়নিক ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে রক্ষা করবে আর এটি এর একটি অন্যন্য বিশেষত্ব ।
নারী মানেই ১০ হাতের দুর্গা আর নারী মানেই সংসার , গর্ভধারন অবস্থা আর সাধারণ অবস্থা সকল সময়েই তাঁদের সংসারের কথা ভাবতে হয় । আমাদের দেশে তো এটা একটা কমন ব্যাপার যে গর্ভবতী অবস্থায় মায়েরা রান্না বান্না করে থাকে সংসারের অন্যান্য ছোট খাটো কাজ করে আর যাদের একটি সন্তানের পর আরেকটি সন্তান হতে যাচ্ছে তারা অনেকটাই গুরুত্বহীন ভাবে কাজ করে থাকে ।
কিন্তু সকলের প্রয়োজন যত কিছুই থাক তারপরেও গর্ভাবস্থায় বিশেষ যত্নের এতে করে মা শিশু দুজনেই ভালো থাকে ।
কোয়েল ডিজিটাল বালা পরিধানের পর রান্নার সময় নির্গত কোন ক্ষতিকারক গ্যাস কিংবা ক্ষতির সম্ভাবনা অনুভব করার করার সাথে সাথে এই বালা সংকেত প্রদান করা শুরু করবে অডিও মেসেজ এবং লাইট জ্বলে ওঠার মাধ্যমে ।
Comments
Post a Comment