টিভিএস এপাচি আরটিআর ১৫০মোটরসাইকেল (TVS Apache RTR 150) মালিকানা রিভিউ

টিভিএস এপাচি আরটিআর ১৫০মোটরসাইকেল (TVS Apache RTR 150) মালিকানা রিভিউ

টিভিএস এপাচি আরটিআর ১৫০ (TVS Apache RTR 150বাইকটি প্রায় সকলের কাছেই আলোচিত। নিঃসন্দেহে,  বাংলাদেশের সর্বাধিক বিক্রিত ১৫০ সিসি বাইক এবং অন্যটা নন স্পোর্ট সেগমেন্ট এ সর্বাধিক গতি সম্পন্ন বাইক। টিভিএস১৫০ আরটিআর অ্যাপাচি আরটিআর ১৫০ দেখতে নিখুঁত ও পেশীবহুল ।  এপাচি বাইক দাম ও হাতের দামের মধ্যে।
টিভিএস এপাচি  এর জন্ম হয় ২০০৬ সালে,নতুন প্রযুক্তি আর নতুন ডিসাইন এর সাথে। প্রথমদিকে যদিও টিভিএস মোটরসাইকেলটি তেমন  আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারেনি। এর নামের প্রচলন ঘটে ২০১২ এর পরে যখন এর তৃতীয় প্রজন্মের বাইকটি বাজারে আসে যা এখনো বহু প্রচলিত।

এটি একটি স্ট্যান্ডার্ড ক্লাস এর বাইক যার প্রধান ক্রেতা লক্ষ্য ছিলো তরুণ সমাজ সাথে মধ্য বয়স্করাও ।
তবে,টি ভি এস মটর সাইকেল এর এই অতি আকর্ষণীয় ডিজাইন সকল বয়সের ক্রেতাদের নজরে আসে । বৃদ্ধ থেকে নতুন প্রজন্ম সকলের মন কাড়তে সক্ষম এই অসাধারণ বাইকটি।

টিভিএস অ্যাপাচি আর.টি.আর ১৫০ এর বৈশিষ্ট্যঃ

ইঞ্জিন টাইপ – ৪ স্ট্রোক সিঙ্গেল সিলিন্ডার এয়ার কুল. ডিসপ্লেসমেন্ট – ১৫০ সিসি. কম্প্রেসন অনুপাত – ৯.৫ : ২. সর্বাধিক শক্তি – ১৪.৯ @ ৮৫০১ বি.এইচ.পি @ আর.পি.এম. সর্বাধিক ঘূর্ণন – ১৩.১ @ ৬০০১ এন.এম @আর.পি.এম. সিলিন্ডার বোর – ৬২ মিলিমিটার. স্টোক – ৫২.৯ মিলিমিটার.
এই বাইকটি ইন্ডিয়ান হলেও প্রযুক্তি যা এই বাইকটিকে করেছে অতুলনীয় তা এসেছে ইতিহাস থেকে। এই বাইকের পিতা সুজুকি ফিয়েরো যা ১৯৯৯ এর কথা যখন টিভিএস এবং সুজুকি যৌথ ছিলো । এর মানে, অ্যাপাচি আরটিআর এর ইঞ্জিন বর্তমান যুগের আধুনিকতার মত রূপবান হলেও ভেতরে রয়েছে এক যুগের থেকে পুরনো ইতিহাস এবং চমৎকার শক্তি।
কথিত আছে এই যে এই বাইকের ইঞ্জিন চির অমর, যদিও এই কথাটার সত্যি জানা নাই তবুও এর ইঞ্জিন আমার দেখা মতে যথেষ্ট শক্ত-পোক্ত যদি ঠিকমত পরিচর্যা নেয়া হয়।

টিভিএস অ্যাপাচি আরটিআর ১৫০ নিয়মিত চালক এবং মালিক এশা নুর জামান রোমান এর  ব্যাক্তিগত রিভিউঃ

আমি খুলনা মোটরসাইকেল বিপণী নামক মোটরসাইকেল শো রুম থেকে জীবনের প্রথম ব্যাক্তিগত মোটরসাইকেল হিসেবে টিভিএস এপাচি আরটিআর ১৫০ ক্রয় করি ২০১৫ সালের শুরুর দিকে । আমার বাবা মা পছন্দ করে আমাকে প্লাটিনাম স্প্রে কালারের এই বাইকটী কিনে দেয়।
বাজারে বাইকটি আমার কালার ছাড়া আরো অনেক আকর্ষণীয় কালারে পাওয়া যায় যার মধ্যে রয়েছেঃ
ফুল রেড,ইয়েলো,ম্যাট ব্ল্যাক,হোয়াইট,ফুল গ্রিন,গ্লোসি ব্ল্যাক,ম্যাট ব্লু ।
উল্যেখ্য যে এই কালার গুলো ছাড়া অন্য বাকি যে সকল কালার রয়েছে তা পুরোনো মডেল অথবা অসাধু ব্যাবসায়িদের অধিক মুনাফার জন্য নকলকৃত।
ওল্ড মডেলের কালারগুলো হলঃ
১। রেড-ব্ল্যাক ২। গ্রিন-ব্ল্যাক ৩। ইয়েলো ব্ল্যাক ইত্যাদি
নকল কালারগুলো যেমন হতে পারেঃ-
১। ম্যাট রেড ২। ম্যাট গ্রিন
আবার বডি পার্টস অনেক সময় চেঞ্জ করে পুরোনো সেকেন্ড জেনারেশন এর বাইক গুলোকে থার্ড জেনারেশন এর পার্টস সংযোজন করে বিক্রি করা হয়।
আমি সহ সকলেই বলতে বাধ্য হবে যে এপাচি আরটিআর এর এই মুল্যে এর থেকে স্টাইলিশ বাইক পাওয়া সম্ভব নয়।
এর ট্যাংক এর কালার এবং ইঞ্জিন এর নিচের কালার সবার নজর কাড়ে।
এর হ্যান্ডেল এবং ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাচার/কনসোল অনেক হেভি ডিউটি এবং স্টাইলিশ তাছাড়া এর স্পিডোমিটার আমার দেখা সব বাইকের থেকে অনেক উন্নত এবং আকর্ষণীয় ফিচার সমৃদ্ধ যার মধ্যে উল্লেখ্য হল এর কালার যা হল নীল সাথে আছে ঘড়ি,ট্রিপ মিটার ০ থেকে ৬০ কিলোমিটার স্পীড কত সময়ে উঠেছে তা দেখার বিশেষ রেকর্ডার সাথে আরো আছে টপ স্পীড রেকর্ডার ।
টিভিএস এপাচি এপাচি বাইক দামইয়ামাহা বাইক (1)
এই বাইকটি সব থেকে বড় আকর্ষণ এর লুক যা এসেছে কমিক বইয়ের থেকে অনুপ্রাণিত বিস্ট থেকে যা এর হেডলাইট এর উপরের “ডিআরএল DR:Daytime Running Light  যা সবসময় জ্বলে থাকে ইগনেশন চাবি অন করার পর থেকে অফ করা পর্যন্ত সম্পূর্ণরূপে প্রতিফলিত হয়।

বাংলাদেশে টিভিএস আরটিআর ১৫০ সিসি (TVS RTR 150) এর দাম ২০১৭

বাংলাদেশে আপনি টিভিএস অটো এর নিজস্ব এবং অন্যান্য সকল শো-রুম থেকে টিভিএস এপাচি আরটিআর মোটরসাইকেল টি কিনতে পারবেন মাত্র ১,৮৪,৯০০ থেকে ১,৮৬,৯০০ টাকার মধ্যে ।

রাইডিং কোয়ালিটি এবং স্পেসিফিকেশনঃ


বাইকটি সেমি রেসিং পজিশনের তাই বাইকটি চালাতে বেশ স্মার্ট মনে হয় যা শহরে চালাতে বেশ মজাদার কিন্তু অভ্যস্ত না হলে লম্বা সফরে পিঠ , কব্জি, ও ঘাড় সহ পেয়ে কিছুটা ব্যাথা অনুভব হতে পারে কিছুটা স্পোর্টস বাইকের মত।
বাইকটি ১৫০ সিসি যা সঠিকভাবে প্রায় ১৪৭ সিসি এর ডিস্প্লেসমেন্টের এক সিলিন্ডার বিশিষ্ট এয়ার কোল্ড ফোর স্ট্রোক ইঞ্জিন দ্বারা চালিত । বাইকটি সর্বোচ্চ ১৫.২ ব্রেক হর্স পাওয়ার প্রদান সক্ষম ৮৫০০ আরপিএম এবং বাইকটি চমকপ্রদভাবে সর্ট স্ট্রোকের দৌলতে মাত্র ৪০০০ আরপিএম এ ১৩.১ টর্ক প্রদান করতে পারে দ্রুত গতি বৃদ্ধি করতে এবং সর্বোচ্চ গতি যা প্রায় ১২০ থেকে ১২৪ এ নিয়ে যেতে সাহায্য করে।
হার্ড ব্রেকে এই বাইকের স্কিড করার সম্ভাবনা অন্য বাইকের থেকে কিছুটা বেশি কিন্তু সঠিক পজিশনে বসে চালানো হলে ( ট্যাংক থেকে কিছুটা দূরে বসে চালালে ) এ সমস্যা অনেকটা সমাধান হয়ে যায়।
এই বাইকের টায়ার পরিবর্তনের মাধ্যমেও এ সমস্যার অনেকটা সমাধান হয়।
বাইকটি জ্বালানী ধারণ ক্ষমতা ১৬ লিটার রিজার্ভ সহ এবং মাইলেজ শহরে ৩৮ থেকে ৪২ এবং হাইওয়েতে ৪২ থেকে ৪৮ পর্যন্ত পাওয়া যায়।
বাইকটি ১৩৭ কেজি ওজনের এবং সাম্নের চাকার টায়ার সাইজ ৯০/৯০ এবং পেছনে ১১০/৮০ সাথে আছে টেলিস্কোপিক ফ্রন্ট সাস্পেনশন এবং টুইন শক্স রিয়ার যা কিছুটা শক্ত। এটির সামনের পেটেল ডিস্ক অন্য বাইকের চেয়ে অনেক উন্নত এবং পেছনে ড্রাম ব্রেক  ডিস্ক উভয় পাওয়া যায় । বাইকটির জন্য ২০w৫০ ইঞ্জিন অয়েল সব থেকে ভালো।
 Apache rtr 150 new version is coming soon!

নতুন টিভিএস এপাচি আরটি আর টিভিএস মটরস – Product Review BD

অনলাইনে নতুন-পুরনো টিভিএস মোটরসাইকেল খুঁজুন দেশের শীর্ষ গাড়ি কেনা-বেচার বাজারে-https://bn.carmudi.com.bd 
পালসার ১৫০ সিসি বনাম টিভিএস অ্যাপাচি আর টি আর তুলনামুলক রিভিউ >> http://www.bikebd.com/

নতুন ইয়ামাহা বাইক, Yamaha Vixion 2017 Edition লঞ্চ হয়েছে

ইয়ামাহা মোটর সাইকেল এর দাম  – Product Review BD

বাংলাদেশে মোটরসাইকেল এর দাম ২০১৭ – Product Review BD

মোটরসাইকেল চালানোর কিছু প্রয়োজনীয় পরামর্শ,নূতনদের জন্য

উত্তরা মটরস লিমিটেড-বাজাজ মোটরসাইকেল এর একমাত্র ডিলার।

Comments