ক্যাস্টর
অয়েল চুলের বৃদ্ধিতে ও চুল গজাতে অনেক প্রাচীন কাল
থেকেই রূপচর্চার বিভিন্ন উপাদানের মাঝে
এটি একটি বহুল ব্যবহৃত উপাদান। আজ আমি আপনাদের সাথে চুলের
যত্নে এই সময়ের উপযোগী একটি হেয়ার ক্যাস্টর অয়েলর ব্যবহার ও ক্যাস্টর অয়েলের উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করবো।
ক্যাস্টর অয়েল
ছবি
ক্যাস্টর অয়েলের
উপকারিতা চুল এবং শরীরের রূপচর্চায় অনেক সমস্যা দূর করে দেবে। ।
চুলের
যত্ন নিয়ে হয়তো সবাই কম বেশি ঝামেলায় পরে থাকেন, যে যত সুন্দর চুল আশা করে তার
জন্য যত্ন নেয়াটাও অনেক বেশি একটা ধৈর্যের ব্যাপার। সবসময় মনে রাখবেন, কোন কিছুর
ফল অনেক সহজে চলে আসবেনা।
চলুন
এবার কাজের আলোচনায় যাই, আপনারা সবাই ক্যাস্টর অয়েল এর নাম শুনে থাকবেন।
মেয়েদের রূপচর্চায় ওয়েল’স এর ক্যাস্টর ওয়েল
ক্যাস্টর অয়েল দাম
দোকান ভেদে ওয়েলস ক্যাস্টর অয়েলের দাম ১২০-১৭০ টাকা
এর ভেতরে ওঠানামা করে।
ক্যাস্টর অয়েল কোথায় পাওয়া যায়
ক্যাস্টর অয়েল
যে কোনো বড় কসমেটিক্সের দোকানে পাওয়া যায়
চলুন
প্রথমেই শরীর এবং চুলের উপর এর উপকারিতাগুলো দেখে নেই
Click to read more>>
আপনার কি চুল পড়ে যেতে শুরু করেছে? টাক ঢাকতে ক্যাস্টর ওয়েল
ত্বক এবং চুলের যত্নে ক্যাস্টর অয়েল এর উপকারিতা সমূহঃ
১।
স্বল্পদামি এবং হাতের নাগালেই পাওয়া যায়।
২। চুল
কিংবা আপনার ত্বক যেকোনো জায়গায় এর ব্যবহার এন্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান হিসেবে কাজ
করে।
৩।
ত্বক এর মাঝে থাকা ফাঙ্গাস জনিত সমস্যা কিংবা খুশকি অথবা ত্বক চুলকানো এসব থেকে
মুক্তি দেয়।
৪। সম্পূর্ণ
প্রাকৃতিক একটি উপাদান।
৫। এর
মাঝে আপনি একই সাথে ভিটামিন –ই, মিনারেল, ওমেগা ৬ এবং ৯, ফ্যাটি এসিডের গুণাগুণ
পাবেন।
৬। আপনার
এলারজি থাকলে নিমিষেই এর ব্যবহার আপনার সকল এলার্জি জনিত সমস্যা দূর করে দেবে।
এতক্ষন
আমরা শুধু এর কিছু গুণাবলী কিংবা উপকারিতা দেখলাম এবার আসুন একটু দেখে নেই আপনার
চুলে ক্যাস্টর অয়েল কি ধরনের উপকার অথবা প্রভাব ফেলে থাকে।
Click to read >>ইমামি ৭ অয়েল ইন ওয়ান ড্যামেজ কন্ট্রোল হেয়ার অয়েল-রিভিউ
চুলের যত্নে ক্যাস্টর অয়েল এর কার্যকারিতা সমূহঃ
১। চুল
পরে যাওয়া ভেঙ্গে যাওয়া প্রতিরোধ করে।
২।
অকালে চুলের গোঁড়া নরম হয়ে চুল উঠে পরা রোধ করে থাকে।
৩।
আপনার স্ক্যাল্প মানে মাথার ত্বকের পিএইচ ব্যাল্যান্স করে রাখতে সহায়তা করে থাকে।
৪। বিভিন্ন
ক্যামিকেল জাতীয় উপাদান ব্যবহারের পর আপনার চুল অনেকটাই নির্জীব হয়ে যায় ক্যাস্টর
অয়েল আপনাকে এই ধরনের সমস্যা থেকে একশত ভাগ মুক্তি দিতে পারে।
৫।
খুশকি দূর করে।
৬।
চুলের গোঁড়া শক্ত করে এবং পুষ্টি যোগায় চুলের আগা থেকে একদম গোঁড়া অবধি।
৭।
মাথার চুলকানি এবং উকুন নাশক হিসেবেও ভালো কার্যকরী।
৮। চুল
ঝলমলে করে তোলে এবং স্মুদ অর্থাৎ মোলায়েম করে চুলের মাঝে জট বাঁধা রোধ করে।
৯।
মাথা ঠান্ডা রাখে।
১০।
চুলের অগ্রভাগ ফেটে যাওয়া অথবা রুক্ষতা থেকে মুক্তি দেয়।
এতক্ষন
আমরা চুলের মাঝে ক্যাস্টর অয়েল কি ধরনের প্রভাব ফেলে তাই দেখলাম।
এখন
আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে এতো এতো তেলের মাঝে আপনি কি ধরনের ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার
করবেন অথবা কিভাবেই বা এই তেল আপনার চুলে প্রয়োগ করবেন সেসব বিষয় নিয়ে।
ভাবনার
কারন নেই, আপনার সুবিধার জন্যেই আমাদের এই আলোচনা তাই প্রত্যেকটি বিষয় খুব
গুরুত্ত্ব দিয়ে দেখুন এবং মনে রাখুন এতে করে আপনারই উপকার হবে।
ক্যাস্টর
অয়েল অনেক ঘন হয় অন্যান্য নরমাল তেলের
চাইতে তাই আমি এটিকে অন্যান্য তেলের সাথে পরিমান মত মিশিয়ে ব্যবহার করি।
যেহেতু ক্যাস্টর অয়েল খুব ঘন তাই এটি চুলে লাগানোর পূর্বে চুলের তেল (কোকোনাট অয়েল, অলিভ অয়েল, আমন্ড অয়েল) এর সাথে মিশিয়ে লাগালে সুবিধা হবে। যদিও এটি একদমই আমার নিজের থেকে বের করা একটি প্রণালী তার পরেও আপনারা নিজের
প্রয়োজন এবং সুবিধা অনুযায়ী প্যাক বানিয়ে ব্যবহার করাটাই মনে হয় উত্তম ফলাফল দিতে
আপনাকে সাহায্য করে থাকবে।
ক্যাস্টর অয়েল চুলে আপনি কিভাবে প্রয়োগ করবেন
এখন
দেখে নেই চলুন কীভাবে এই তেল আপনার চুলে আপনি সঠিক ভাবে প্রয়োগ করবেন যেন সবচাইতে
ভালো ফলাফল আপনি পেতে পারেন এবং আশা করি আপনারা বিফল হবেন না। চলুন তবে
জেনে নেই এর ব্যবহার বিধি
কীভাবে আপনার চুলে ব্যবহার করবেনঃ
এই তেল
আপনাকে তখনি ভালো একটা ফলাফল দেবে যখন আপনি এর ব্যবহার সঠিক ভাবে করতে পারবেন তাই
বলছি ভালো করে বুঝে শুনে ব্যবহার করুন, না হলে পরে আমাকে তো ছাড়বেনই না, আবার নিজের
চুল নিয়েও পরবেন এক মহা বিপাকে। আসলে ক্যাস্টর হেয়ার অয়েল শুধু শুধু ব্যবহার না
করে আপনি যেকোন সাধারণ তেল এর সাথে এর কিছু পরিমান মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারলেই
ভালো বলে আমি মনে করি।
প্রতি সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করতে পারলে ভালো, একবার হলেও
কোন সমস্যা নেই।
প্রথমে
চুলের মাঝে অল্প করে পানির স্প্রে করে নিতে পারেন যেন গোঁড়া গুলো একদম শুষ্ক না
থাকে আমি এভাবেই ব্যবহার করি। তারপর কখনো এক দুই ঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলি আবার কখনো পুরো
রাত রেখে দেই।
তবে ঘুমানোর চিন্তা থাকলে এমন ভাবে শোবার ব্যাবস্থা করুন যেন এটি আপনার বালিশ
এর মাঝে তেল চটচটে ভাব না করে। এইত এভাবেই ব্যবহার করবেন আর কীভাবে চুল ধুবেন
কিংবা চুল পরিষ্কার করবেন এই তেল থেকে সে ব্যাপারে বলতে গেলে প্রথমেই পরামর্শ দেবো
একদম প্রাকৃতিক শ্যাম্পু ব্যবহারের। ভাবছেন এ আবার কি আসুন জেনে নেই।
যেভাবে চুল থেকে ক্যাস্টর অয়েল পরিষ্কার করবেনঃ
চুল
থেকে এই তেল পরিষ্কার করা একটু ঝামেলার কাজ আর বাজারের এসব রাসায়নিক জিনিস যেমন- শ্যাম্পু, কন্ডিশনার
পরিষ্কার যেমন করবে তেমনি আপনার সারারাতের কষ্টের ফল টুকুও মুছে দিবে তাই ব্যবহার
করুন প্রাকৃতিক কিছু যা আপনার চুল কে ক্ষতি না করেই পরিষ্কার করে দেবে এই তেল।
আপনি
ডিম ব্যবহার করে আপনার চুল ধুয়ে ফেলতে পারেন। এতে করে নরমাল শ্যাম্পুর পর
আপনার চুল থাকবে ঝলমলে এবং প্রাণোচ্ছল আর তৈলাক্ত ভাব চলে যাবে।
আপনারা জানেন
যে ডিম অনেকটাই কন্ডিশনারের কাজ করে ইচ্ছে করলে চুলগুলো ধুয়ে ফেলার পর শুকানোর
আগেই অল্প করে চাপাতির পানির গরম ভাপ লাগিয়ে নিতে পারেন অথবা অল্প পেয়াজ বাঁটা ব্যবহার
করে দেখতে পারেন। তবে যাই করুন না কেন চুলগুলো খুব আস্তে করে মুছবেন এবং যত্নের সাথে শুকিয়ে
নিবেন। তবেই ভালো ফলাফল পাবেন আবারো বলে দিলাম আপনাদের উপকারের জন্যই।
পরিশেষঃ
আবারো
বলছি যেখানেই যে ধরনের টিপস দেখুন না কেন মনে রাখবেন, আপনার ত্বক আপনার কাছে আর আমার
ত্বক আমার কাছে তাই প্রথমেই সব কিছু ব্যবহার না করে আগে পরিক্ষামুলক ভাবে দেখুন
এটি আপনার চুল কিংবা ত্বকে কাজ করছে কিনা কিংবা কোন বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলছে কিনা।
আশা করি
আমাদের আজকের এই টিপস আপনাদের কিছুটা উপকারে লাগতে পারে। পরবর্তী আরও বিভিন্ন টিপস পেতে
আমাদের সাথে থাকুন বলতে হবে না জানি তাই বলছি ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন আর বেশি বেশি করে
নিজেকে রাখুন প্রাণোচ্ছল।
মনে
রাখবেন দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকাই সবচাইতে বড় রূপচর্চা, ধন্যবাদ।
This comment has been removed by the author.
ReplyDelete