বাইসাইকেল চেইন সঠিক যত্ন সামনের দিকে
এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। চিন্তা করুন, এই
চেইন ছাড়া আপনি বাইক নিয়ে কোথাও যেতে পারবেন না। তাই চেইন এর দীর্ঘতার জন্য চাই সঠিক যত্ন।
বাইসাইকেল চেইন এর প্রকারভেদঃ
সাধারনত ২ ধরনের চেইন রয়েছে। ও-রিং চেইন এবং নন ও-রিং
চেইন। ও-রিং চেইন এ ছোট ছোট ও-রিং সংযুক্ত করা থাকে। এই ও- রিং চেইন এর ভিতরে গ্রীস
ও পিচ্ছিল কারক পদার্থ ধরে রাখে। অনেকেই মনে করেন ও রিং ড্রাগ এ উচ্চ মাত্রা সৃষ্টি
করে। তারপরেও সঠিক রক্ষনাবেক্ষন ও রিং চেইন এ ড্রাগ এর পরিমান কমিয়ে আনে।
চেইন লুবঃ
চেইন এর কার্যকারিতা ধরে রাখার জন্য চেইন লুব ব্যাবহার
করা হয়। প্রতি ৫০০ মাইল চালানোর পর বাইক এর চেইন লুব দিবেন।
এ দেশে বিভিন্ন ধরনের লুব্রিকেন্টস পাওয়া যায়। এগুলো
বেসিক ওয়াক্স, ফোমিং ওয়াক্স, কনভেনশনাল লুব থেকে ফোমিং কনভেনশনাল লুব ইত্যাদি। এক
এক লুব্রিকেন্টস এক এক রকম ফ্লিং ও সুবিধা প্রদান করে। সাধারনত বেশি ফ্লিং অধিক
সুরক্ষা এবং কম ফ্লিং অল্প সুরক্ষা প্রদান করে।
যখন আপনি চেইন এ লুব প্রয়োগ করবেন না, তখন এটি অনেক
বেশি স্ক্রেচিং করবে। এতে চেইন ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চেইন পরিষ্কারঃ
আপনি যদি নিয়মিত বাইক এর যত্ন নেন, আপনাকে প্রথমেই
চেইন এর যত্ন নিতে
হবে। এতে উচ্চ পর্যায়ের লুব্রিকেন্টস ধরে রাখে। এতে চেইন খুব তারাতারি ময়লা হয়। যা
খুব নোংরা দেখায়। আপনি যখন বাইক এর তেল পরিবর্তন করবেন, তখন চেইন পরিষ্কার করান।
চেইন
পরিষ্কার করার সহজ পদ্ধতিঃ
আপনাকে একটি ছেড়া কাপড়ের টুকরা, একটি টুথব্রাশ ও কেরোসিন
নিতে হবে। কঠিন সল্ভেন্টস ব্যাবহার করবেন না, যেমন- পেট্রোল। এটি চেইন এর ও-রিংস নষ্ট করে দেয়। স্প্রে অথবা কেরোসিন
দিয়ে চেইন মুছুন। কেরোসিন দিয়ে মোছার উপকারিতা হল, এতে খুব তাড়াতাড়ি চেইন পরিষ্কার
হয় এবং আপনার সময় বাচায়।
সাধারনত পুরনো ছেঁড়া কাপড় কেরোসিন এ ভিজিয়ে চেইন এর উপর মুছুন। এতে খুব তাড়াতাড়ি
চেইন পরিষ্কার হবে। চেইন বেশি ময়লা হলে, একটি স্প্রে এর বোতল এ কেরোসিন নিয়ে চেইন এ
স্প্রে করুন এবং কাপড়ের টুকরা দিয়ে মুছুন।
এই কাজটি
খোলামেলা জায়গায় করবেন, যেখানে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রয়েছে। কাউন্টার শ্যফট এ
স্প্রকেট কভার পরিষ্কার করার জন্যও এই পদ্ধতি ব্যাবহার করা হয়।
এরপর পুরনো টুথ ব্রাশ দিয়ে চেইন টি সব দিক দিয়ে ঘষুন।
আবার একটা কাপড় এর টুকরা দিয়ে কেরোসিন মুছে ফেলুন। প্রায় ১৫-২০ মিনিট পর চেইনটি পরিষ্কার
হয়ে যাবে এবং ছেঁড়া কাপড় নোংরা হবে।
এরপর একটু গিয়ার অয়েল চেইন এ লাগিয়ে দিন। এরপর পিছনের
চাকা ঘুরিয়ে দিন, যেন গিয়ার অয়েল চেইন এর সব অংশে লাগে। এরপর চেইনটি আরেকটা কাপড়
দিয়ে হালকা ভাবে মুছে ফেলুন, যেন অতিরিক্ত লুব না থাকে। ৫০০ কিমি. চালানোর পর চেইন
পরিষ্কার করবেন।
যে কোন ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোর এ কেরসিন পাওয়া যাবে।
স্টোভ চুলা জ্বালানোর জন্য কেরোসিন ব্যাবহার হয়।
যা মনে রাখা ভালঃ
১। WD40 চেইন এ ব্যাবহার করবেন না, এতে চেইন এ স্ক্রেচ দেখা দেয়।
২। গিয়ার অয়েল এর গ্রেডঃ SAE140, SAW90 গ্রেড এর অয়েল অনেক বেশি পাতলা। তাই চেইন এ বেশিক্ষণ
থাকে না।
৩। চেইন গরম থাকলে দ্রুত পরিষ্কার হবে। তাই যদি পারেন,
বাইক চালিয়ে এসেই পরিষ্কার করা শুরু করতে পারেন।
৪। গ্রিজ ব্যাবহার করা থেকে বিরত থাকুন। কারন, গ্রিজ
চেইন এর সব জায়গায় পৌছাতে পারে না এবং প্রচুর ময়লা জমে।
Comments
Post a Comment