চুলের বৃদ্ধিতে বা সমস্যায় ঘরোয়া সমাধান
কিশোরী বা যুবতী এমনকি বৃদ্ধা সবাই আমরা আমাদের চুল ভালোবাসি। তাই নয় কি? আপনাকে দেখতে কেমন লাগবে তা অনেক খানিই নির্ভর করে আপনার চুলের স্টাইলের উপর। কিন্তু এই চুল নিয়ে আমরা অনেক ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হই। চুলের আগা ফাটা, চুল পড়া, চুল নষ্ট ও রুক্ষ হয়ে যাওয়া, খুশকি -কত ধরণের সমস্যা আমাদের চুলে হয় -তাই নয় কি?
চুল পড়ে যাওয়া আপনাকে আপনার বয়সের আগেই বুড়ো করে ফেলবে। কিন্তু আমাদের এই ব্যস্ত আর জীবন জাবনের চাপ এর কারনে চুল পড়া উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়ে গেছে। কিন্তু এই সমস্যা রোধে আমাদের ঘরোয়া উপায়ে সমাধান খুজতে হবে -রাসায়নিক উপাদান যুক্ত ট্রিটমেন্ট না নিয়ে।
আর কেনইবা আমরা সেসব করব না কারণ এসব কিছুই আমারা আমাদের রান্নাঘরেই পাব। কিন্তু আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। এগুলি করতে সময় লাগবে আর কেনইবা আপনি আপনার রূপচর্চার সময়টুকু এই ব্যস্ত জীবন থেকে বের করবেন না-যা আপনার সুন্দর থাকা নিয়ে কথা।
তো আসুন আমরা চুল বৃদ্ধির বা নুতন চুল গজানোর ঘরোয়া উপায় নিয়ে কথা বলি
কিভাবে আমারা মাথায় চুলের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারি? প্রাকৃতিক উপায় অবলম্বন করার অনেক বেশী উপকারিতা আছে। সবচেয়ে বড় উপকারিতা হল এটি খুব ভাল কাজ দেয় এবং এটি কম করচে করা যায়।
আমরা এখানে এই পদ্ধতিগুলিকে ৪ ভাগে ভাগ করেছি
১) রান্নাঘরের উপাদান দিয়ে যত্ন
২) এসেন্সিয়াল ওয়েল দিয়ে যত্ন
৩) খাদ্যাভ্যাসে পরিবরতনের মাধ্যমে যত্ন
৪) প্রাকৃতিক উপাদান আর উপায়
১) রান্নাঘরে উপাদান-
- পিয়াজের রস
- অ্যাপেল সিডার ভিনেগার
- ডিমের মাস্ক
- মেথি
- গোল আলুর রস
- মেহেদি
- গোল মরিচ
- নারকেলের দুধ
- গ্রিন টি
- নারকেল তেল
- গোল মরিচের বীজ
- জবা ফুল
- আমলকী
- রসুন
- আমলকি
২) এসেন্সিয়াল ওয়েল
১৬) ভিটামিন ই ওয়েল
১৭) রোজ মেরি ওয়েল
১৮) তিসির তেল
১৯) লেভেন্ডার এর তেল
২০) জজবা ওয়েল
২১) অলিভ ওয়েল
২২) কাস্টর ওয়েল
৩) খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন
২৩) প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার
২৪) ভিটামিন এ
২৫) প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার
২৬) ভিটামিন বি
২৭) ভিটামিন সি
২৮) ভিটামিন ই
২৯) সবুজ সবজি
৪) প্রাকৃতিক উপায়
৩০) চুলের স্টাইল করার রাসাউওনিক পন্নকে নয়া বলুন
৩১) নিয়মিত চুল আঁচড়ান ও ট্রিম করা
আসুন এবার জেনে নেই রান্নাঘরের উপাদান গুলির ব্যবহার -কিভাবে এসব ব্যবহারে আপনার চুল বৃদ্ধি পাবে এবং সুন্দর হবে
১) পিয়াজের রস
আপনার কি লাগবে
২ টি লাল পিয়াজ
আপনাকে কি করতে হবে
১) পিয়াজের খোসা ফেলে পিয়াজ ছোট টুকরা করুন।
২) এবার ব্লেন্ড করে এগুলির রস ছেঁকে নিন।
৩) আপনার মাথার ত্বকে এই রস ভালোভাবে লাগান এবং ১৫ মিনিট রাখুন।
৪) শেষে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
কতদিন অন্তর অন্তর আপনাকে এটা করতে হবে –
আপনার আশানুরুপ ফল পেতে সপ্তাহে একদিন পিয়াজের রস মাথায় লাগান।
এটি কেন ভাল কাজ দেয়
পিয়াজের রসে প্রচুর সালফেট আছে যা মাথার টিস্যুতে কোলাজেন বৃদ্ধি করে আর নুতন চুল জন্মাতে সাহায্য করে। এটি একটি অতি পুরাতন কিন্তু কার্যকরী ঘরোয়া উপায় চুল বৃদ্ধি ও নুতন চুল গজানোর জন্য।
২) অ্যাপেল সিডার ভিনেগার
আপনার কি লাগবে –
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার
পানি
আপনাকে কি করতে হবে
১)আপনার চুল শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করুন।
২)১ লিটার পানিতে ৭৫ মিলি. অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশান। আপনি এই মিক্সার পরবর্তী ব্যবহারের জন্য সংরক্ষন করতে পারেন
৩) শ্যাম্পু করার পর ১ কাপ এই মিশ্রণ দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
কতদিন অন্তর অন্তর আপনাকে এটা করতে হবে –
আপনি যখন শ্যাম্পু করেন তখন শ্যাম্পু শেষে এই মিশ্রণ দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলবেন।
এটি কেন ভাল কাজ দেয়
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মাথার ত্বকের পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে চুলের পিএইচ লেভেল ঠিক রাখে আর চুলের বৃদ্ধি তরান্বিত করে।
৩) ডিমের মাস্ক
আপনার কি লাগবে –
১) ১ টি ডিম
২) ১ টেবিল চামচ অলিভ ওয়েল
৩) ১ টেবিল চামচ মধু
আপনাকে কি করতে হবে
১)ডিমের সাদা অংশ একটি পাত্রে নিয়ে এতে অলিভ ওয়েল আর মধু মেশান।
২)খুব ভালোভাবে এগুলি মিয়ে সাদা পেস্ট তৈরি করুন।
৩)এই মাস্ক চুলে আর মাথার ত্বকে ভালভাবে লাগান আর ২০ মিনিট রাখুন।
৪)ডাণ্ডা পানি দিয়ে প্রথমে ধুয়ে ফেলুন এরপর চুলে শ্যাম্পু করুন।
কতদিন অন্তর অন্তর আপনাকে এটা করতে হবে –
সপ্তাহে একবার ডিমের মাস্ক চুলে লাগান। চুল অনেক বেশী ঝলমলে হবে।
এটি কেন ভাল কাজ দেয়
ডিম এ রয়েছে প্রোটিন, সালফার, জিঙ্ক, আইরন, সেলেনিয়াম, ফসফরাস, ও আয়োডিন । এইসব উপাদান কারনের এই মাস্কটি চুল বৃদ্ধিতে দারুণ সহায়ক।
Comments
Post a Comment