কোন সাইজের বাইসাইকেল আপনার দরকার

কোন সাইজের বাইসাইকেল আপনার দরকার

আপনার যে সাইজের বাইসাইকেল দরকার আপনি যদি হন নতুন বাইসাইকেল চালক তবে প্রথমেই জেনে নিন একটি সাইকেলের অ্যানাটমি। বাই সাইকেল কেনার আগে তাই আপনার গঠন ও আকৃতির সাথে উপযুক্ত বাইসাইকেলটি খুঁজে বের করুন। সেই বাইসাইকেলটি কিনবেন যেটা আপনার প্রয়োজন আর শারীরিক উপযুক্ততার সাথে যথোপযুক্ত । এসবের সাথে যথোপযুক্ত বাইসাইকেলই আপনাকে দেবে আরামদায়ক সাইকেলিং ।

মোটর বাইক কেনার পরামর্শ বা নির্দেশিকা

বাইসাইকেল কেনার সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল এর সাইজ ও মাপ বুঝতে পারা। আপনার শারীরিক আকার ও আকৃতি একই সাথে সাইজ বুজতে হবে সাইকেল কেনার আগে যাতে আপনার সাথে সামাঞ্জস্যপূর্ণ হয়। নিজের শরীরের উচ্চতা, শরীরের বিভিন্ন স্তরের মাপ, ধড়ের লম্বা এবং বাহুর লম্বা মাপ জানাটা আবশ্যক। আর আপনার উচ্চতা মাপার আগে অবশ্যই জুতা খুলে নিবেন ।
আপনার উচ্চতা ও শরীরের অন্যান্য অংশের সঠিক মাপ জানার পর আপনি আপনার জন্য সঠিক বাইসাইকেল এর সাইজটি বাছাই করতে পারবেন যা চালনা করা আপনার জন্য আরামদায়ক ও সস্তিদায়ক হবে।
নীচের ছবিতে দেখুন শরীরের বিভিন্ন স্তরের মাপ বাইকের জন্য Inseam length এর সঠিক মাপটি কিভাবে করবেনঃ
এটি শুরু হয় আপনার কোমর থেকে যেখানে আপনার সাইকেলের সিট টি থাকে।
প্রথম ধাপ-খালি পায়ে পা দুটি ৬-৮ ইঞ্চি ফাঁকা করে দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়ান ।
২য় ধাপ- দু পায়ের মাঝে একটি বই দিয়ে দেয়াল ঘেঁষে বইটি আপনার শ্রোণিচক্র পর্যন্ত তুলুন । মেরুদণ্ড সোজা রাখুন। এটা আসলে আপনার বাইকের সিট এর মতো একটি অনুকরণ করে একটি কাজ ।
৩য় ধাপ- ৩য় কোন ব্যাক্তিকে বইটির উপর বা মেরুদণ্ড হতে ফ্লোর পর্যন্ত মাপ নিতে Inseam এর মাপ বুঝতে ভিডিও টি দেখুন

 আপনার শরীরের ধড়ের মাপঃ

Inseam এর মাপের ১ম তিনটি ধাপ পুনরায় করুন।এবার শ্রোণীচক্র হতে গলা পর্যন্ত লম্বায় কত ইঞ্চি তা মাপ নিয়ে দেখুন। এটা আসলে গলার নিচে ভি সেপ কার্ভ হতে শুরু হবে যা আপনি ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন।কণ্ঠা হতে হাতের তালুর মধ্য পর্যন্ত হল আপনার বাহুর লম্বার মাপ।
নীচের সাইজ তালিকা হতে আপনি বাইকের সাইজ সম্পর্কে একটি ধারনা পাবেনঃ

রাস্তার বাইকের সাইজ

আপনার উচ্চতা আর আকৃতির ভিত্তিতে আপনার বাইকের ফ্রেম সাইজ নির্ধারণ

উচ্চতা   Inseam মাপ বাইকের ফ্রেম

৪ ফিট ১০ ইঞ্চি – ৫ ফিট ১ ইঞ্চি ২৫.৫ – ২৭ ইঞ্চি ৪৬-৪৮ সেমি.
৫ ফিট ০ ইঞ্চি – ৫ ফিট ৩ ইঞ্চি ২৬.৫ – ২৮ ইঞ্চি ৪৮-৫০ সেমি.
৫ ফিট ২ ইঞ্চি – ৫ ফিট ৫ ইঞ্চি ২৭.৫ – ২৯ ইঞ্চি ৫০-৫২ সেমি.
৫ফিট ৪ ইঞ্চি – ৫ ফিট ৭ ইঞ্চি ২৮.৫ – ৩০ ইঞ্চি ৫২-৫৪ সেমি.
৫ ফিট ৬ ইঞ্চি – ৫ ফিট ৯ ইঞ্চি ২৯.৫- ৩১ ইঞ্চি ৫৪-৫৬ সেমি.
৫ ফিট ৮ ইঞ্চি – ৫ ফিট ১১ ইঞ্চি ৩০.৫ – ৩২ ইঞ্চি ৫৬-৫৮ সেমি.
৫ ফিট ১০ ইঞ্চি -৬ ফিট ১ ইঞ্চি ৩১.৫ – ৩৩ ইঞ্চি ৫৮-৬০ সেমি.
৬ ফিট ০ ইঞ্চি – ৬ ফিট ৩ ইঞ্চি ৩২.৫ – ৩৪ ইঞ্চি ৬০-৬২ সেমি.
৬ ফিট ২ ইঞ্চি – ৬ ফিট ৫ ইঞ্চি ৩৪.৫ – ৩৬ ইঞ্চি ৬২-৬৪ সেমি.

সাইজ

যদি আপনার বাইকটির টপ টিউবটি(যা সিট ও হ্যান্ডল বারের মধ্যে থাকে) আপনার দু পায়ের মাঝে ২ বা ৩ আঙ্গুল জায়গা রাখে এবং আপনি সিটে বসে মাটিতে আপনার পা দুটি সমান ভাবে রাখতে পারেন তবে এটা আপনার জন্য সঠিক সাইজ। যদি কোন টপ টিউব না থাকে তবে সিটে বসে মাটিতে পা রাখতে পারেন কিনা পরীক্ষা করুন। একইসাথে সিটে বসে প্যাডেল চালাতে আরাম পাচ্ছেন কিনা তাও দেখুন। সিটে বসে হ্যান্ডলবার সহজভাবে ধরে স্বাভাবিকভাবে প্যাডেল চালাতে পারলে আপনার জন্য সঠিক সাইজ এটাই । আপনার যে যে মাপ দরকার বাইক কেনার সময়- আপনার পায়ের সাইজই নির্ধারণ করবে আপনার stand over উচ্চতা আপনি আপনার সাইকেলের সিটের সামনে টপ টিউবের দু পাশে পা দিয়ে দাঁড়ালে শ্রোণিচক্র হতে নিচ পর্যন্ত হল আপনার stand over উচ্চতা। নীচের ছবিতে দেখুন-

বাইক কেনার জন্য আরও কিছু সহজ পরামর্শ

আপনার inseam  এর মাপ অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় বাইক কেনার সময়। সবচেয়ে ভাল হয় আপনি যদি আপনার inseam  ও এর সাথে আরও ১ থেকে ২ ইঞ্চি যোগ করে হিসাব করেন যাতে আরামদায়কভাবে টপ টিউবের উপরে আপনার মাপটি থাকে। বাইক এক্সপার্টরা বলেন যে, রাস্তার বাইকের জন্য এটি ১ থেকে ২ ইঞ্চি এবং পাহাড়ি বাইকের জন্য এটি ২ থেকে ৪ ইঞ্চি হলে বেশী ভাল।

আপনার সাইজের সাথে উপযুক্ত সাইজটি বাইকের সাইজ তালিকা থেকে খুঁজে বের করুন।

টপ টিউবের দৈর্ঘ্য এর অন্য আর একটি সুত্র হল –
(আপনার ধড়ের উচ্চতা+ আপনার হাতের দৈর্ঘ্য )/২ = ক
ক-৬= টপ তিউবের দৈর্ঘ্য

Comments