মোটর সাইকেলের মাইলেজ পাওয়ার 10 টি কার্যকরী টিপস

আপনার মোটর সাইকেলের যথাযথ মাইলেজ পাওয়ার কিছু সহজ কিন্তু 10 টি কার্যকরী টিপস

১: নিয়মিত আপনার মোটর সাইকেলের চাকা  পরীক্ষা করে দেখবেন যে চাকাগুলি সহজভাবে ঘুরছে কিনা। চাকা জ্যাম হয়ে যাওয়ার একটি সাধারণ  কারণ হল ব্রেক খুব বেশি টাইট হয়ে যাওয়া । এছাড়া, চাকার বেয়ারিং ভেংগে বা নষ্ট হয়ে গেলেও আপনার মোটর সাইকেলের চাকা জ্যাম হতে পারে। চাকার জ্যামের কারনে চলন্ত অবস্থায় ইঞ্জিনে বেশী চাপ পরে যার ফলশ্রুতিতে আপনার বাইকের মাইলেজ কমে যেতে পারে। চাকার জ্যামকে কখনই অবহেলা করবেন না। সময়মতো ব্যবস্থা নিন । কারণ অতিরিক্ত টাইট থাকার জন্য যেকোন সময় নাটটি গোঁড়া থেকে ভেঙ্গে যেতে পারে আর যার ফলে আপনি ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন ।
৩: চাকার জ্যাম হওয়ার  আরেক টি প্রধান কারণ হল চেইন অতিমাত্রায় টাইট থাকা । চেইনে যদি  ধুলাবালুর কারনে ময়লা দেখা দেয় আর নিয়মিত লুব্রিকেন্ট করা না হয় তবে আপনার আখাংকিত মাইলেজ কমে যেতে পারে । ম্যানুয়াল  দেখে যথাযথ ভাবে চেইনটিকে টাইট করুন।
বিঃ দ্রঃ  স্প্রোকে দ্রুত ক্ষয় হবে যদি আপনার চেইনটি অতি মাত্রায় টাইট থাকে আর এর ফলে চলন্ত অবস্থায় চেইন ছিড়ে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে অনায়সেই।
৪: মেকানিক দের ভাষায় যাকে বলে টেপিটমিলানো  যার মানে হল  ভালভ ক্লিয়ারেন্স যা  আপনার মোটর সাইকেলের মাইলেজ ও শক্তি কমিয়ে আনে। অতিরিক্ত টাইট ভালভ  ইঞ্জিনের শব্দকে হ্রাস করে কিন্তু এর প্রভাব পড়ে টাইমিং চেইনের উপর । এর ফলে ইঞ্জিন ভালোভাবে ঘুরতে পারেনা। এটা, ইঞ্জিনের জ্বালানী খরচ বাড়িয়ে দেয় আর সাথে সাথে টাইমিং চেইনটাও আর টেকসই হয়না।
একিইভাবে বেশি ভালভ ক্লিয়ারেন্স ও মাইলেজের জন্য ভাল নয় । তাই, ভালব ক্লিয়ারেন্স যত ভালো হবে আপনার বাইকের পারফর্মেন্সও বাড়াবে এবং মাইলেজ বৃদ্ধি করবে।
৫:সব গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করা যাবে না। শুধুমাত্র   কোম্পানি নির্ধারিত গ্রেডের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করলে বাইকের ইঞ্জিনের লাইফের স্থায়ীত্বও বৃদ্ধি পায় ।
৬: কার্বুরেটর এর প্রসঙ্গে আমাদের অবশ্যই ফোকাস করা উচিৎ। কার্বুরেটর দিয়ে আপনি ফুয়েল বাড়াতে বা কমাতে পারবেন। কিন্তু, এখানে বেশি হাত দেয়া যাবে না। কার্বুরেটর এবং এর  অ্যাডজাস্টমেন্ত স্ক্রুগুলি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ।কার্বুরেটর কখনো কম অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মেকানিক দ্বারা টিউন করানো যাবে না । অনভিজ্ঞ মেকানিক দ্বারা টিউন করা হলে কার্বুরেটর নষ্ট হবার সম্ভাবনা থাকে আর উচ্চমূল্যে আর একটি কিনতে হবে।
৭:ভাল মানের স্পার্ক প্লাগ ব্যবহারে অভ্যাস করুন। বাজারে এখন ngkirridium plug পাওয়া যাচ্ছে সব যায়গায়।
৮: টায়ার প্রেশার প্রতি ১৫ দিনে একবার  চেক করুন এবং প্রস্তুতকারকের পরামর্শ অনুযায়ী টায়ার প্রেশার  বজায় রাখুন।
৯: প্রস্ততকারক যে মাপের চাকা নির্ধারণ করেছে, সেই মাপের চাকা ব্যবহার  করলে মাইলেজ ঠিক থাকে অন্যথায় মাইলেজ হ্রাস পায়।
১০:এয়ার ফিল্টার হল অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা মাদের সব সবসময় মাথায়  রাখতে হবে। সার্ভিসিং এর সময়  এয়ার ফিল্টার নিয়মিত পরিষ্কার করবেন আর নির্ধারিত সময় পর পর বদলে ফেলুন। এয়ার ফিল্টার ময়লা হলে আপনার মোটর সাইকেলের মাইলেজ কমে যাবে।
পাশাপাশি নিম্নমানের পেট্রল/অকটেন এর ব্যবহার, RPM বেশী করে রাখা, সিগনালে স্টার্ট বন্ধ না করা,  বারবার ব্রেক করে আবার গতি বাড়িয়ে দেয়া, ইত্যাদি কারনে মাইলেজ কমে যেতে পারে। তাই, আপনার প্রিয় মোটর সাইকেলের খুব যত্ন নিন , তাকেও ভাল রাখুন, আপনিও ভাল থাকুন ।

Comments